Posts

Showing posts from 2017

ভয় পেও না, পৃথিবীটা শুধু কুকুরের নয়- মানুষেরও

রাত সাড়ে বারোটায় ‘মু’র টেক্সট - ‘আমার খুব ভয় হচ্ছে, কান্না পাচ্ছে’। ভয় পেয়ে গেলাম, বাবুর কোন সমস্যা হলো কি? টেক্সটের রিপ্লাই দিলাম, "কি হয়েছে"? সাধারণত ওর চিন্তা ভাবনাগুলো বুঝতে পারি। ভালো লাগা, খারাপ লাগাগুলো কিছুটা আন্দাজ করতে পারি। কিন্তু ও আমার প্রশ্নের প্রতিউত্তরে যা বল্লো, তা আমার কল্পনার ত্রীসীমাতেও আসেনি। ও বললো, ভারতের দিল্লিতে কিছুদিন আগে এগারো মাস বয়েসি এক মেয়ে শিশেুকে রেপ করা হয়েছে। এই নিউজটা দেখেই ও ভয় পেয়ে গেছে। সান্তনা দিয়ে বল্লাম, ভয় পেও না। ওটা একটা দুর্ঘটনা, বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আতংকিত কন্ঠে বল্লো, আমারওতো একটা মেয়ে আছে যার বয়স আড়াই মাস। সাহস দেবার জন্য বললাম, এগুলো মানুষরুপী কুকুর, ভদ্রবেশী হিংস্র পশু। কিছু কুকুরের জন্য তুমি কেন ভয় পাবে? নিজের কথায় নিজেরই সন্দেহ হলো। সত্যি কি পশুর উপর মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব এখনো বজায় আছে? কতজন মনুষত্ব্য সম্পন্ন মানুষ আছে এই সমাজে? গণিতের সূত্রে কি আমাদের চারপাশে কতজন মানুষ আর কতজন কুকুর বাস করে বের করতে পারবো? ‘মু’কে বলা হয়নি, তিন মাস বয়সের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের দায়ে পঞ্চাশ বছর বয়সের বৃদ্ধকে আজীবন জেল দিয়েছে আদালত। বললে হ

দুইজন দয়ালু সেলসম্যান এবং একটি খারাপ মানুষ

রাস্তার মোড় ঘুরে আসার সময়ই ছেলেটি বৃদ্ধ লোকটিকে দেখতে পায়। আলো ঝলমলে মিষ্টির দোকানের ভেতর পরিপাটি করে সাজানো খাবারের দিকে তাকিয়ে আছেন বৃদ্ধ। গায়ের মলিন পোষাক দেখে বেশ বোঝাই যাচ্ছে তিনি এই দোকানের কাস্টমার নন। বৃদ্ধকে অতিক্রম করে আরো কিছুদূর এগিয়ে যাবার পরে ছেলেটি ভাবলো, আহারে বেচারা! মিষ্টির দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে অথচ ভেতরে ঢুকে কিনে খাবার সাধ্য নেই। খারাপ লাগারই কথা। ছেলেটি কি যেন চিন্তা করে ঘুরে দাঁড়াল। লোকটাকে একটা মিষ্টি কিনে দিলে কেমন হয়? বৃদ্ধ মানুষটি খুশিই হবে। ছেলেটি দোকানের সামনে ফিরে এসেছে। ততক্ষণে দোকানের ভেতর থেকে বেরিয়ে এসেছেন একজন সেলসম্যান। হাতের মোড়কে সাজানো দুটি মিষ্টি তুলে দিয়েছেন বৃদ্ধের হাতে। বৃদ্ধ এবং সেলসম্যান, দু’জনের মুখেই তখন পরম আনন্দের হাসি। এই মানুষটা চা বিক্রি করেন। মতিঝিলের এই এলাকায় তিনি ছোট একটা চায়ের দোকান চালান দীর্ঘ দিন ধরে। কাজের ফাঁকে দুপুরে দোকানের ভেতরই খেয়ে নেন। খাবার সময় একটা ব্যাপার তিনি অনেক দিন ধরেই লক্ষ্য করছেন। তার আশে-পাশে বেশ কিছু বসার বেঞ্চ আছে। দুপুরে খাবার সময়টায় সেখানে কিছু রিক্সাওয়ালা এবং ভিক্ষুক বসে থাকে। বসে বসে যে কাঠ ফাটা দুপুরের

কাজের বুয়া, সদ্য পাশ করা পোস্ট গ্রাজুয়েট এবং বিদেশি ডিগ্রিধারী ভাই

হিসেব করে দেখলাম, আমাদের বাসায় যে মহিলা কাজ করেন তার প্রতি মাসে আয় কমপক্ষে ১২-১৩ হাজার টাকা। আমাদের বাসাসহ আরো তিন বাসায় কাজ করে তিনি এই টাকা পান। কাজের ক্ষেত্রে তিনি আবার যথেষ্ট প্রফেশনাল। নিদির্ষ্ট তিন কাজের বেশি চার কাজ করবেন না। আবার সেই তিন কাজের কোনটা পরিমানে বেশি হলেও তিনি অসন্তুষ্ট হন। মোদ্দা কথা, এক ঘন্টার মধ্যে কোন রকমে তিনি তার যাবতীয় কাজ শেষ করে নেক্সট অফিসে, সরি নেক্সট বাসায় চলে যান। ওহ, কর্মক্ষেত্র থেকেই তিনি সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, রাতের খাবার যোগার করে নেন। সুতরাং, খাবারের পেছনে আর বাড়তি কোন খরচা করতে হয় না। এবার আমাদের অফিসে সদ্য মাস্টার্স পাশ করে জয়েন করা এক্সিকিউটিভের হিসেব করলাম। তার মাসিক বেতন ১২ হাজার টাকা। এই টাকায় তিনি ঢাকায় মেসে থাকেন, খাওয়া দাওয়া করেন, অফিসে যাতায়াত করেন, বাড়িতে টাকা পাঠান। মাস শেষে হাতে আদৌ কিছু থাকে কিনা সেই জানে। বিদেশ থেকে ডিগ্রি নিয়ে দেশে আসা পরিচিত আরেক ভাইয়ের কথা জানি। দেশে এসে তিনি এক এক প্রাইভেট ভার্সিটিতে লেকচারার হিসেবে জয়েন করেছেন ১৫ হাজার টাকায়। এই টাকায় তিনি কিভাবে চলেন সেই হিসেবটা বরং থাক। বাসায় কাজের মহিলা, সদ্য মাস

যে টাকায় মিশে থাকে ঘৃণা আর অভিশাপ

সত্তরোর্ধ মানুষটি খোঁড়াতে খোঁড়াতে অফিসারের রুমে ঢুকলেন। তিনি বেশ চিন্তায় আছেন। গত কয়েক মাস ধরেই তার পানির বিল বেশি আসছে। হিসাবে তিনি যে পরিমাণ পানি খরচ করেন, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বিল আসছে। ব্যাপারটা সমাধানের জন্যই এই মধ্য দুপুরে তার ওয়াসা অফিসে আসা। অফিসার তাকে সহজে ব্যপারটা বুঝিয়ে দিলেন। তার কথা হলো, 'আমরা তো আপনাদের সেবার জন্য এখানে বসেছি। তাহলে আর সমস্যা কি? ঘটনা হলো আপনার ওদিকে যিনি বিল করে তিনি অমুক দলের নেতা। তাছাড়া বুঝেনতো আরো ব্যাপার-স্যাপার আছে। যাই হোক, এটা কোন সমস্যাই না। আপনি কিছু খরচা-পাতি দিয়ে যান, তাহলে সামনের মাস থেকে বিল কম করে করবে। ' বৃদ্ধ ভদ্রলোক অফিসারের দিকে শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন। তিনি মনে মনে হিসাব কষছেন, বিল বেশি আসলে সে টাকা পাবে সরকার। আর বিল কমিয়ে করলে লোকসান হবে সরকারের। আবার বিল বেশি আসলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে গ্রাহক। আর কম করলে লাভবাণ হবে 'ওয়াসা'র লোকজন। আবার কম বিল করাতে হলে গ্রাহককে খরচা-পাতি দিতে হবে যেটা পুরো অযৌক্তিক। কারণ তিনি যা খরচ করছেন তাইতো বিল দিবেন। বেশি কেনো দিবেন? আর সেখানে বেশি বিল- কম বিলের প্রশ্ন আসে কেনো? বেশি বিল দিলে তো

ইলুমিনিটি- আমেরিকার স্থপতি ম্যাসন আর একচোখা 'দাজ্জাল'

Image
জনপ্রিয় ভ্রমন কাহিনী লেখক বুলবুল সারোয়ারে র 'স্বপ্নভ্রমন জেরুসালেম' বইটি পড়ছি মন্ত্রমুগ্ধের মত। জেরুসালেমের তীর্থস্থানের সীমানা ছাড়িয়ে লেখক ঐ স্থানের সাথে জড়িত ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোকে তুলে এনেছেন অসাধারণ বর্ণনার ঢঙ্গে। এমনিতেই বুলবুল সারোয়ারের লেখা পড়লে মনে হয় আমিও বুঝি স্বশরীরে ঘুরে বেড়াচ্ছি লেখকের সাথে। পড়তে পড়তে সামনে পেয়ে গেলাম ইলুমিনিটি শুরুর ঘটনা। ইলুমিনিটির সাথে জড়িত ম্যাসনদের ইতিহাস সম্পর্কে ঘাটতে গিয়ে এক বিরাট ধাক্কা খেলাম। নেট সার্ফিং করে জানা কিছু তথ্য খুব সংক্ষেপে এখানে উল্লেখ করলাম।  'স্বপ্নভ্রমন জেরুসালেম' বইটির কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা খুবই ইন্টারেস্টিং। আশা করছি সুযোগ পেলে অন্যদের সাথে শেয়ার করবো, ইনশা আল্লাহ। যেভাবে শুরু হলো ইলুমিনিটি হিরাম আবিফের রূপকথা পুরো পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী গুপ্ত-রহস্য। টায়ারের রাজা হিরামের কাছে যখন নবী সোলেমান (আ:) তার উপাসনালয় গড়ার জন্য সাহায্য চান- তখন বিধবার পুত্র (আবিফ) হিরামকে পাঠান রাজা হিরাম। তার নির্মাণ দক্ষতা ছিল সীমাহীন। বলা হয়- স্বর্ণের সাথে রৌপ্য ও লৌহ; পাথরের সাথে কাঠ এবং রত্ন; গোলাপির সাথে নীল কিংবা কাপড়ের ভাঁজ

The Alchemist- স্বপ্নের পেছনে ছুটে চলা

Image
The Alchemist বইটা পড়েছেন? না পড়লে পড়ে ফেলুন। একজন মানুষের জীবনের লক্ষ্য ঠিক করার জন্য যতগুলো ভালো বই পড়া প্রয়োজন- The Alchemist তার মধ্যে অন্যতম। একদম বাড়িয়ে বলছি না। সময় করে পড়ে ফেলুন। এরপর বুঝবেন, একজন লেখক কতটা গভীরভাবে মানুষের জীবনবোধকে তুলে আনতে পারে। কতটা সহজ ভাষায় পাঠকের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়- তুমি ঠিক কি কারণে কখনোই সফল হতে পার না। খুব আপসোস হচ্ছে, বইটা যদি ছাত্রজীবনে পড়ার সুযোগ পেতাম। বিশেষ করে যখন স্কুলে পড়ি বা আরও পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে - তখন এমন একটা বই হয়তো দৃষ্টিভঙ্গিটাকে বদলে দিত। আরও অনেক বিষয়ে সুন্দর সিদ্ধান্ত গ্রহনে সাহায্য করত। যা হবার তাতো হয়েই গেছে। এটাকে বরং বইয়ের 'ইংলিশম্যানের' মতো করে বলি, 'তাও ভালো যে এটা এখন পড়তে পেরেছি। এমনওতো হতে পারত যে এটা আরো দশ বা পনের বছর পরে পড়ার সুযোগ পেতাম। অথবা কখনোই পেতাম না। এটা কি বিরাট ব্যাপার না? 'মানুষ কেন সফল হয়?' অথবা 'মানুষ কেন তার গন্তব্যে পৌঁছুতে পারে না'? উহু। এটা ফুটপাতে 'আপনিও সফল হবেন', 'সাফল্য লাভের একশ উপায়', 'সহজে কোটিপতি হবার কৌশল' - এ টাইপের কিছু না

দু:খিত, ভাস্কর্য নয়- ওটা রোমান দেবী জাস্টিসিয়া

আমরা সমঝোতা নয়, বিভেদ পছন্দ করি। বিভেদ হলেই হবে তর্ক, বিতর্ক- পাওয়া যাবে অন্যের উপরে নিজেকে বড় প্রমাণের সুযোগ। অথবা প্রতিপক্ষের উপর একহাত নেওয়া যাবে। আর অতি বুদ্ধিমানরা বিতর্ক তৈরী করে গোপনে অন্য কোন উদ্দেশ্য আদায় করতে। আর এক শ্রেণীর মানুষ আছে কোন কারণ ছাড়াই অন্যের সাথে ঝামেলা বাঁধাবে- ঝগড়া করবে। জানি না, এমন কারো মাথা থেকেই মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের সামনে নারী মূর্তি স্থাপনের বুদ্ধি বের হয়েছে কিনা!! ব্যাপারটা চিন্তা করে বলুন তো, যখন কোন ধর্ম- নারীদের মুখ, চেহারা ঢেকে রাখতে বলে, তখন সেই ধর্ম হয়ে যায় গোঁড়া। নারী স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ এর দোষে আক্রমণের স্বীকার হয় সে ধর্ম। আবার সেই ধর্মকে নিয়ে কটুক্তিকারীরা যখন নারীর চোখ-মুখ বেঁধে হাতে ধারালো তরবারি আর দাঁড়ি পাল্লা ধরিয়ে দেয় তখন সেটা হয়ে যায় ন্যায় বিচারের প্রতীক!!! এটা কি ডাবল স্টান্ডার্ড হলো না? আবার  নারীর হাতে দেওয়া হলো তরবারি!!! স্টেনগান বা বন্দুক থাকলে বুঝতাম আমাদের মহান মুত্তিযুদ্ধের সাহসী যোদ্ধাদের রূপক প্রতিনিধি এই নারী। বুঝলাম তার হাতের দাঁড়িপাল্লা দিয়ে সে ন্যায় বিচার করবে। কিন্তু তরবারি কেনো? তরবারি দেখলে তো হানাহানি-রক্তারক্তির

জাহিদ সাহেবকে একজন লোভী ডাক্তার না বলে জঙ্গি ডাক্তার বল্লে কি প্রতিবাদ করতেন?

প্রশ্নপত্রে যদি এমন লিখতো, 'জাহিদ সাহেব একজন জঙ্গি ডাক্তার। তিনি উগ্রবাদী দলের সাথে যুক্ত থেকে মানুষকে মারার পরিকল্পনা করেন....' তাহলে চিকিৎসক সংগঠনগুলো কি বলতো এই প্রশ্নে ডাক্তারদের ঢালাওভাবে জঙ্গি বলে হেয় করা হয়েছে? চিকিৎসকরা 'ফেরেশতা' একথা অনেক চিকিৎসকই দাবী করবেন না। মানুষে র মধ্যে কি ভালো-খারাপ নাই? তাহলে ভালো চিকিৎসক থাকলে খারাপ চিকিৎসক থাকবেনা কেনো? এটা নিয়ে তাদের হইচই নেহায়েতই 'ট্রাম্পিয়' আচরণ। প্রশ্নপত্রে বলে নাইযে, 'অন্যান্য ডাক্তারদের মতোই জাহিদ সাহেব একজন লোভী ডাক্তার'। অথবা, 'জাহিদ সাহেব দ্রুত বাড়ি-গাড়ি করতে চান কারণ তিনি ডাক্তার'। অথবা, 'ডাক্তাররা জাহিদ সাহেবের মতো লোভী হয়'। স্পস্টই বলা হয়েছে, 'জাহিদ সাহেব একজন লোভী ডাক্তার'। এখানে ব্যাক্তি জাহিদ সাহেব লোভী, ডাক্তার জাহিদ সাহেব নয়। ব্যাক্তিকে লক্ষ্য করে কথাগুলো বলা। এখন এই ব্যক্তি জাহিদ সাহেব ব্যবসায়ী হতে পারতেন, শিক্ষক হতে পারতেন, সরকারী কর্মকর্তা হতে পারতেন, পুলিশ হতে পারতেন..........ইত্যাদি ইত্যাদি। তার 'লোভ' তার ব্যক্তিগত সমস্যা। তার মধ্যে নৈতিক মূল

মানুষকে দেখানোর জন্যই আমরা দেনমোহর নির্ধারণ করি

মেয়েটিকে নিয়ে ছেলেটি তার বন্ধুর বাসায় পালিয়ে এসেছে বিয়ে করার জন্য। দীর্ঘদিনের প্রেম অথচ পরিবার এই বিয়েতে রাজি নয়। তাই এই সিদ্ধান্ত। বিয়ের আয়োজন তাৎক্ষণিকভাবে যা করা সম্ভব তাই করা হয়েছে। যথাসময়ে কাজী উপস্থিত। ছেলের বন্ধুরাও অনেকে আছে। বিয়ে পড়ানো শুরু হতেই মেয়েটি হঠাৎ বেঁকে বসলো। দেনমোহর ২০,০০,০০০/- (বিশ লক্ষ) বা তার বেশি না হলে সে বিয়ে করবে না। মেয়েটির এমন আচরণে অন্যরা বেশ বিরক্তই হলো। এটা কেমন কথা? এতোদিন রিলেশন করে পালিয়ে এসেছে বিয়ে করার জন্য। এমন সময় এমন আজব গোঁ ধরার মানে কি? তাছাড়া এতোগুলো টাকা কি মুখের কথা নাকি? অন্যদিকে ছেলেটি মেয়েটির কথা শুনে সাথে সাথেই দাঁড়িয়ে কাজীকে বল্লো, দেনমোহর ৫০,০০০,০০/- (পঞ্চাশ লক্ষ টাকা!!!), আপনি বিয়ে পড়ান। শুনে কি মনে হচ্ছে? ছেলে বিরাট কোটিপতি? জ্বি না। এককালে তার বেশ ভালো ব্যবসা বাণিজ্য থাকলেও বর্তমানে বেকার। বাসা ভাড়া দিতেও কষ্ট হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, এতোদিন সম্পর্ক করে বিয়ের সময় মেয়েটি এমন দাবী কেনো করলো আর ছেলেটিই বা এমন আজব অংকের টাকা কেনো প্রস্তাব করলো। একটু চিন্তা করলেই উত্তরটা পাওয়া যাবে। পুরো ব্যাপারটায় মেয়েটি এবং ছেলেটি- উভয়ই তাদের প্রেস্টিজ