যে টাকায় মিশে থাকে ঘৃণা আর অভিশাপ
সত্তরোর্ধ মানুষটি খোঁড়াতে খোঁড়াতে অফিসারের রুমে ঢুকলেন। তিনি বেশ চিন্তায় আছেন। গত কয়েক মাস ধরেই তার পানির বিল বেশি আসছে। হিসাবে তিনি যে পরিমাণ পানি খরচ করেন, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বিল আসছে। ব্যাপারটা সমাধানের জন্যই এই মধ্য দুপুরে তার ওয়াসা অফিসে আসা।
অফিসার তাকে সহজে ব্যপারটা বুঝিয়ে দিলেন। তার কথা হলো, 'আমরা তো আপনাদের সেবার জন্য এখানে বসেছি। তাহলে আর সমস্যা কি? ঘটনা হলো আপনার ওদিকে যিনি বিল করে তিনি অমুক দলের নেতা। তাছাড়া বুঝেনতো আরো ব্যাপার-স্যাপার আছে। যাই হোক, এটা কোন সমস্যাই না। আপনি কিছু খরচা-পাতি দিয়ে যান, তাহলে সামনের মাস থেকে বিল কম করে করবে। '
বৃদ্ধ ভদ্রলোক অফিসারের দিকে শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন। তিনি মনে মনে হিসাব কষছেন, বিল বেশি আসলে সে টাকা পাবে সরকার। আর বিল কমিয়ে করলে লোকসান হবে সরকারের। আবার বিল বেশি আসলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে গ্রাহক। আর কম করলে লাভবাণ হবে 'ওয়াসা'র লোকজন। আবার কম বিল করাতে হলে গ্রাহককে খরচা-পাতি দিতে হবে যেটা পুরো অযৌক্তিক। কারণ তিনি যা খরচ করছেন তাইতো বিল দিবেন। বেশি কেনো দিবেন? আর সেখানে বেশি বিল- কম বিলের প্রশ্ন আসে কেনো? বেশি বিল দিলে তো টাকা পাবে সরকার। আর ক্ষতিগ্রস্থ হবে গ্রাহক। আর আসল বিলের চেয়ে কম করলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে সরকার। টাকা পাবে................
বৃদ্ধের মাথা ঘুরতে থাকে। তিনি হিসাব মিলাতে পারেন না। সরাসরি জীবন-মরণ লড়াইয়ে দেশটাকে স্বাধীন করার হিসাবটা ছিলো খুব সোজা। অন্যায়-অবিচার হঁটাও। সাম্য-ন্যায় প্রতিষ্ঠা করো। বঙ্গবন্ধুতো এই সহজ হিসাবটাই সবাইকে শিখিয়েছিলেন। এর জন্যইতো মুক্তিযুদ্ধ করা। যুদ্ধে পঙ্গু হয়ে যাওয়া পা নিয়ে আজো খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাটা। তার প্রেসার বাড়তে থাকে। না বলা রাগে, দু:খে তিনি অফিসারের সাথে 'খরচা-পাতি'র পরিমাণ নিয়ে দরকষাকষি করতে থাকেন। টাকাতো তিনি দেবেনই। দিতেই হবে। তবে এই টাকার সাথে সাথে দেবেন মনের সর্বোচ্চ ঘৃণা। আর অভিশাপ।
অফিসার তাকে সহজে ব্যপারটা বুঝিয়ে দিলেন। তার কথা হলো, 'আমরা তো আপনাদের সেবার জন্য এখানে বসেছি। তাহলে আর সমস্যা কি? ঘটনা হলো আপনার ওদিকে যিনি বিল করে তিনি অমুক দলের নেতা। তাছাড়া বুঝেনতো আরো ব্যাপার-স্যাপার আছে। যাই হোক, এটা কোন সমস্যাই না। আপনি কিছু খরচা-পাতি দিয়ে যান, তাহলে সামনের মাস থেকে বিল কম করে করবে। '
বৃদ্ধ ভদ্রলোক অফিসারের দিকে শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন। তিনি মনে মনে হিসাব কষছেন, বিল বেশি আসলে সে টাকা পাবে সরকার। আর বিল কমিয়ে করলে লোকসান হবে সরকারের। আবার বিল বেশি আসলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে গ্রাহক। আর কম করলে লাভবাণ হবে 'ওয়াসা'র লোকজন। আবার কম বিল করাতে হলে গ্রাহককে খরচা-পাতি দিতে হবে যেটা পুরো অযৌক্তিক। কারণ তিনি যা খরচ করছেন তাইতো বিল দিবেন। বেশি কেনো দিবেন? আর সেখানে বেশি বিল- কম বিলের প্রশ্ন আসে কেনো? বেশি বিল দিলে তো টাকা পাবে সরকার। আর ক্ষতিগ্রস্থ হবে গ্রাহক। আর আসল বিলের চেয়ে কম করলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে সরকার। টাকা পাবে................
বৃদ্ধের মাথা ঘুরতে থাকে। তিনি হিসাব মিলাতে পারেন না। সরাসরি জীবন-মরণ লড়াইয়ে দেশটাকে স্বাধীন করার হিসাবটা ছিলো খুব সোজা। অন্যায়-অবিচার হঁটাও। সাম্য-ন্যায় প্রতিষ্ঠা করো। বঙ্গবন্ধুতো এই সহজ হিসাবটাই সবাইকে শিখিয়েছিলেন। এর জন্যইতো মুক্তিযুদ্ধ করা। যুদ্ধে পঙ্গু হয়ে যাওয়া পা নিয়ে আজো খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাটা। তার প্রেসার বাড়তে থাকে। না বলা রাগে, দু:খে তিনি অফিসারের সাথে 'খরচা-পাতি'র পরিমাণ নিয়ে দরকষাকষি করতে থাকেন। টাকাতো তিনি দেবেনই। দিতেই হবে। তবে এই টাকার সাথে সাথে দেবেন মনের সর্বোচ্চ ঘৃণা। আর অভিশাপ।
Comments
Post a Comment