Posts

Showing posts from February, 2017

দু:খিত, ভাস্কর্য নয়- ওটা রোমান দেবী জাস্টিসিয়া

আমরা সমঝোতা নয়, বিভেদ পছন্দ করি। বিভেদ হলেই হবে তর্ক, বিতর্ক- পাওয়া যাবে অন্যের উপরে নিজেকে বড় প্রমাণের সুযোগ। অথবা প্রতিপক্ষের উপর একহাত নেওয়া যাবে। আর অতি বুদ্ধিমানরা বিতর্ক তৈরী করে গোপনে অন্য কোন উদ্দেশ্য আদায় করতে। আর এক শ্রেণীর মানুষ আছে কোন কারণ ছাড়াই অন্যের সাথে ঝামেলা বাঁধাবে- ঝগড়া করবে। জানি না, এমন কারো মাথা থেকেই মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের সামনে নারী মূর্তি স্থাপনের বুদ্ধি বের হয়েছে কিনা!! ব্যাপারটা চিন্তা করে বলুন তো, যখন কোন ধর্ম- নারীদের মুখ, চেহারা ঢেকে রাখতে বলে, তখন সেই ধর্ম হয়ে যায় গোঁড়া। নারী স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ এর দোষে আক্রমণের স্বীকার হয় সে ধর্ম। আবার সেই ধর্মকে নিয়ে কটুক্তিকারীরা যখন নারীর চোখ-মুখ বেঁধে হাতে ধারালো তরবারি আর দাঁড়ি পাল্লা ধরিয়ে দেয় তখন সেটা হয়ে যায় ন্যায় বিচারের প্রতীক!!! এটা কি ডাবল স্টান্ডার্ড হলো না? আবার  নারীর হাতে দেওয়া হলো তরবারি!!! স্টেনগান বা বন্দুক থাকলে বুঝতাম আমাদের মহান মুত্তিযুদ্ধের সাহসী যোদ্ধাদের রূপক প্রতিনিধি এই নারী। বুঝলাম তার হাতের দাঁড়িপাল্লা দিয়ে সে ন্যায় বিচার করবে। কিন্তু তরবারি কেনো? তরবারি দেখলে তো হানাহানি-রক্তারক্তির

জাহিদ সাহেবকে একজন লোভী ডাক্তার না বলে জঙ্গি ডাক্তার বল্লে কি প্রতিবাদ করতেন?

প্রশ্নপত্রে যদি এমন লিখতো, 'জাহিদ সাহেব একজন জঙ্গি ডাক্তার। তিনি উগ্রবাদী দলের সাথে যুক্ত থেকে মানুষকে মারার পরিকল্পনা করেন....' তাহলে চিকিৎসক সংগঠনগুলো কি বলতো এই প্রশ্নে ডাক্তারদের ঢালাওভাবে জঙ্গি বলে হেয় করা হয়েছে? চিকিৎসকরা 'ফেরেশতা' একথা অনেক চিকিৎসকই দাবী করবেন না। মানুষে র মধ্যে কি ভালো-খারাপ নাই? তাহলে ভালো চিকিৎসক থাকলে খারাপ চিকিৎসক থাকবেনা কেনো? এটা নিয়ে তাদের হইচই নেহায়েতই 'ট্রাম্পিয়' আচরণ। প্রশ্নপত্রে বলে নাইযে, 'অন্যান্য ডাক্তারদের মতোই জাহিদ সাহেব একজন লোভী ডাক্তার'। অথবা, 'জাহিদ সাহেব দ্রুত বাড়ি-গাড়ি করতে চান কারণ তিনি ডাক্তার'। অথবা, 'ডাক্তাররা জাহিদ সাহেবের মতো লোভী হয়'। স্পস্টই বলা হয়েছে, 'জাহিদ সাহেব একজন লোভী ডাক্তার'। এখানে ব্যাক্তি জাহিদ সাহেব লোভী, ডাক্তার জাহিদ সাহেব নয়। ব্যাক্তিকে লক্ষ্য করে কথাগুলো বলা। এখন এই ব্যক্তি জাহিদ সাহেব ব্যবসায়ী হতে পারতেন, শিক্ষক হতে পারতেন, সরকারী কর্মকর্তা হতে পারতেন, পুলিশ হতে পারতেন..........ইত্যাদি ইত্যাদি। তার 'লোভ' তার ব্যক্তিগত সমস্যা। তার মধ্যে নৈতিক মূল

মানুষকে দেখানোর জন্যই আমরা দেনমোহর নির্ধারণ করি

মেয়েটিকে নিয়ে ছেলেটি তার বন্ধুর বাসায় পালিয়ে এসেছে বিয়ে করার জন্য। দীর্ঘদিনের প্রেম অথচ পরিবার এই বিয়েতে রাজি নয়। তাই এই সিদ্ধান্ত। বিয়ের আয়োজন তাৎক্ষণিকভাবে যা করা সম্ভব তাই করা হয়েছে। যথাসময়ে কাজী উপস্থিত। ছেলের বন্ধুরাও অনেকে আছে। বিয়ে পড়ানো শুরু হতেই মেয়েটি হঠাৎ বেঁকে বসলো। দেনমোহর ২০,০০,০০০/- (বিশ লক্ষ) বা তার বেশি না হলে সে বিয়ে করবে না। মেয়েটির এমন আচরণে অন্যরা বেশ বিরক্তই হলো। এটা কেমন কথা? এতোদিন রিলেশন করে পালিয়ে এসেছে বিয়ে করার জন্য। এমন সময় এমন আজব গোঁ ধরার মানে কি? তাছাড়া এতোগুলো টাকা কি মুখের কথা নাকি? অন্যদিকে ছেলেটি মেয়েটির কথা শুনে সাথে সাথেই দাঁড়িয়ে কাজীকে বল্লো, দেনমোহর ৫০,০০০,০০/- (পঞ্চাশ লক্ষ টাকা!!!), আপনি বিয়ে পড়ান। শুনে কি মনে হচ্ছে? ছেলে বিরাট কোটিপতি? জ্বি না। এককালে তার বেশ ভালো ব্যবসা বাণিজ্য থাকলেও বর্তমানে বেকার। বাসা ভাড়া দিতেও কষ্ট হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, এতোদিন সম্পর্ক করে বিয়ের সময় মেয়েটি এমন দাবী কেনো করলো আর ছেলেটিই বা এমন আজব অংকের টাকা কেনো প্রস্তাব করলো। একটু চিন্তা করলেই উত্তরটা পাওয়া যাবে। পুরো ব্যাপারটায় মেয়েটি এবং ছেলেটি- উভয়ই তাদের প্রেস্টিজ