বাশার তোমাকে অভিশাপ
তেলআবীবের যুদ্ধ জাহাজগুলো
যখন হরমুজ প্রণালির মুখে অপেক্ষমান,
তাদের আণবিক চুল্লিগুলো যখন তারা
নতুন সেন্ট্রিফিউজে সজ্জিত করছে
বাশার,
তখনি তুমি লাতাকিয়ার সবুজ
ভূমিকে করেছ রঞ্জিত, মানুষের টকটকে লাল রক্তে।
তোমার সৈন্যদের বন্দুক থেকে ছুটে যাওয়া
বুলেট কলুষিত করেছে বুর্জ ইসলামের
শান্ত নিরব বালুতট।
দামেস্কের মিনারগুলোকে ভেঙ্গেছ
তোমার অহংকারের আঘাতে।
তারতুস আর আলেপ্পোর শিশুদের করেছ
পিতৃহারা।
পবিত্র জমিনের উপর এখনো দাগ
ছেড়ে যায় তোমার ট্যাংকের বেল্ট,
বাতাসে ধোয়াঁর গন্ধে,
বাশার তুমি কি শুনছো সেই শিশুর চিৎকার?
অস্থির চোখে কেবল অশ্রু, মায়ের লাশের পাশে
বসে থেকে অবাক হয়ে দেখছে,
কেন এতো লাশ, কেন?
কেন এতো কান্না, কেন?
কেন এতো চিৎকার, কেন?
বাশার, এই অশ্রুগুলো চিনে রাখো,
এই কলঙ্কিত দিনের এক একটি অভিশাপ,
আল্লাহর কসম,
এক একটি অভিশাপ
তোমাকে বিদ্ধ করবে যেমনি তোমার স্প্রিণ্টার
বিদ্ধ করেছে মানুষের দেয়াল।
কালাশনিকভের একটানা শব্দ
যেমনি মানুষকে তাড়িয়েছে কুকুরের পালের মত,
ঠিক তেমনি দাবড়ে বেড়াবে তোমায় যেমনি তোমার
কপ্টার আর মিসাইল খুঁজেছে নিস্পাপ কিশোরের কচি দেহ।
আরব বসন্তের দিনকে চৈত্রের দাহে
দাহ করা কিট,
কি করে সারাবে তুমি এতো ক্ষত?
তোমার বিলেতের শিক্ষকরা কি তোমাকে
মানুষের ক্ষত সারাতে শিখিয়েছিলো?
নাকি তোমার রক্তকোষে মিশিয়েছিলো
এক হিংস্র স্বৈরশাসকের বীজ?
মরুর বালুকা কখনো ক্ষমা করেনা ঔদ্ধ্যত্ব,
ওখানে তোমার ঠাঁই নেই।
আরবের ভূমিকে তুমি কখনো দিতে পারোনা
হরমুজের মুখে অপেক্ষমান শত্রুকে,
ইখওয়ানের কেল্লাকে তুমি করতে পারোনা ধ্বংস,
তোমার ভেঙ্গে পড়া আকাশ বাহন দিয়ে।
অবশেষে, মানুষের অভিশাপ আর শিশুর সেই
নিস্প্রাণ চাহনিতে,
তুমি অপেক্ষা করতে থাক
এক নতুন গল্পগাঁথার।
আরবের পল্লীগুলোতে তারার আলোতে সেই শ্লোক
মুখ থেকে মুখে ফিরবে তোমার পতনের কাহিনী হয়ে।
তুমি তোমার হেরেম আর বিলাশ মহলে
অপেক্ষা করতে থাক,
তোমার নির্লজ্জ শোষন অবসানের।
বিজয়ী সিরীয়,
তোমার অনাগত পতনের পথে পথে
মরুতে লিখবে এক নতুন কাব্য,
বিজয়ের।
May 3, 2012
Comments
Post a Comment