Posts

Showing posts from 2015

My confined soul

With all the awkward silences And vacuum, emptiness of life I'm walking on the road of loneliness My heart is full of hype. I'm here It seems I'm in a desert Nothing here, nothing No water, flower, no hate or affection Not even the gathering in the mart. I'm here And the sky full of star. I can feel the blubber of night Hopeless, helpless soul of mine Confined, going too far. জীবনের সব অদ্ভুদ নীরবতা আর শূণ্যতা, অসারতা নিয়ে আমি হেঁটে যাই একাকিত্বের পথে আমার হৃদয় পূর্ণ প্রতারনা দিয়ে। আমি এখানে, যেনো কোন শুস্ক মরুর মাঠে কিছু নাই এখানে, কিছুই না না পানি, না ফুল, না ঘৃণা কিংবা ভালোবাসা নেই কোন মানুষের আনাগোনা এই হাটে। আমি এখানে, আর আকাশ ভরা তারা আমি শুনতে পাই রাতের কান্না আমার আশাহীন, সহায়হীন আত্মা ছুটে চলে কোন এক দূরের পথে, মুক্তিহারা।

লক্ষ্য যখন বায়োকেমিস্ট হওয়া!

আপনার গবেষণা ভালো লাগে? জীবনের রহস্য উদঘাটনের স্বপ্ন কি আপনাকে শিহরিত করে? অথবা জটিল কোন রোগের প্রতিষেধক আবিস্কার করে হাজার হাজার মানুষের জীবন বাঁচাতে চান? তাহলে আপনি পড়াশুনার জন্য বায়োকেমিস্ট্রি ( Biochemistry ) বা প্রাণরসায়ন বেঁছে নিতে পারেন। প্রাণরসায়ন হলো বিজ্ঞানের এমন শাখা যেখানে জীব দেহে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন প্রাণ-রাসায়নিক বিক্রিয়া (Biochemical Reaction) এবং বিভিন্ন প্রাণঅণু (Biomolecules) নিয়ে আলোচনা করা হয়। ভাইরাস, ব্যকটেরিয়া থেকে শুরু করে উদ্ভিদ, প্রাণী- মানে সকল জীবন্ত বস্তুই প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, লিপিড, নিউক্লিয়িক এসিড, এমাইনো এসিড ইত্যাদি প্রাণঅণু নিয়ে গঠিত। প্রাণরসায়ন অত্যন্ত ক্ষুদ্র পর্যায়ে (Molecular Level) এসব প্রাণঅনুর মধ্যে ঘটা বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়া (Chemical Reaction), শক্তির রুপান্তর (Transformation of Energy), প্রাণঅনুসমূহের রুপান্তর (Conversion of Biomolecules), বিভিন্ন কোষ বা অনুসমূহের মধ্যে সঙ্কেত আদান-প্রদান (Signal Transduction or Cell signaling) ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করে। জীবনের রহস্য উদঘাটন থেকে শুরু করে রোগের প্রক্রিয়া, রোগের প্রতিষেধক আবিস্কার, বিবর্...

মার্গারেট হ্যামিলটনঃ চন্দ্রবিজয়ের প্রোগ্রামার

Image
চার বছর বয়সের ছোট্ট লরেন তার মায়ের অফিসের জানালা দিয়ে চালর্স নদী দেখতে দেখতে এক সময় ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লো। একটু দূরেই তার মা হ্যামিলটন এক নাগাড়ে কাজ করে চলেছে। পৃথিবীর কোন দিকেই তার খেয়াল নেই। সে ডুবে আছে প্রোগ্রামিংয়ের এক রহস্যময়, মোহময় জগতে। সময়টা ১৯৬০ এবং মার্গারেট হ্যামিলটনের উপর দায়িত্ব ছিলো ৭০ পাউন্ড ওজনের পৃথিবীর প্রথম বহনযোগ্য কম্পিউটারের জন্য প্রোগ্রাম লেখা, যা কিছুদিন পরেই ‘এ্যপোলো ১১’ মহাকাশযানকে চাঁদের বুকে অবতরণে পথ দেখাবে। ২০ জুলাই, ১৯৬৯। MIT এবং NASA তে অপেক্ষার প্রহর গুনছে সবাই। আর মাত্র তিন মিনিট পরেই এ্যপোলো ১১ এর লুনার মডিউল ‘ঈগল’ চাঁদের বুকে অবতরণ করবে। পৃথিবীর মানুষ ইতিহাস গড়তে চলেছে। রুপকথার চন্দ্র বিজয় আজ সত্যি হবে। আর মাত্র তিন মিনিট বাকি সে মাহেন্দ্রক্ষণের। হঠাৎ করেই অভিযানে মহাকাশযানের নেভিগেশন এবং ল্যান্ডিং এর দায়িত্বে থাকা একাধিক কম্পিউটার বেঁকে বসলো।  তারা বার বার error সংকেত দিতে লাগলো। কি হলো? এতো কষ্ট করে কি তীরে এসে তরী ডুবতে বসলো? এই চরম মুহূর্তে কম্পিউটার ছাড়া যেমন চাঁদে নামা সম্ভব না, তেমনি মহাকাশচারীরাও পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারবে না। নাহ। শে...

একশত বিশ মিনিট এবং একটি নেড়ি কুকুর

অপেক্ষমান মানুষের ভীড়ে তিনি যখন এসে দাঁড়ালেন, তখন শেষ বিকেলের আলো মেঘের সাথে লুকোচুরি খেলছে। মেঘের কিনারা ঘেষে নেমে আসা বর্ণালী উপভোগের ফুসরত তার নেই। তিনি তাকিয়ে আছেন জ্যামে আটকে থাকা গাড়িগুলোর দিকে। তার চোখ খুঁজছে কল্যাণপুর যাবার বাস। তার সাথে আরো অনেক মানুষ দাঁড়ানো। বৃদ্ধ, শিশু, নারী- একেকজনের গন্তব্য একেক জায়গায়। কিন্তু সবার মধ্যেই একটি জিনিস খুব বেশি মিল- সবার চোখেই ক্লান্তি, হতাশা। তার বাম পাশের ছেলেটিকে তিনি দেখছেন। কিছুক্ষণ আগেই হয়তো অফিস থেকে বের হয়েছে। ঘামে ভেজা চোখ-মুখ। সারাদিন প্রচন্ড পরিশ্রম করে হয়তো বাসায় গিয়ে বিশ্রাম নেবে। তার সামনেই এক ভদ্র মহিলা। এক হাতে অফিস ব্যাগ, অন্য হাতে সবজি ভরা বাজারের থলে। এভাবে এই মহিলা বাসে উঠবে কিভাবে? অথচ তাকে তো বাসায় যেতেই হবে। হয়তো তার ছোট্ট বাচ্চাটি তার কোলে ওঠার জন্য সকাল থেকে বসে আছে। একটু দূরে এক যুবক এক হাত দিয়ে স্ত্রীর হাত এবং আরেক হাত দিয়ে বৃদ্ধ মায়ের হাত শক্ত করে ধরে আছে। এরা কোথায় যাবে কে জানে? দীর্ঘক্ষণ পর পর একটি করে বাস আসে। যুবক এগিয়ে যায়। হয়তো যুদ্ধ করে আর দশজনকে মাড়িয়ে সে বাসে উঠতে পারবে, কিন্তু তার স্ত্রী আর মায়ের কি হবে...

সাদা-কালো ফ্রেম

আমরা হেঁটে যাই জীবনের পথে। পথে ফেলে যাই হৃদয়ের ছোট ছোট টুকরো, টুকরোগুলো হয়ে যায় সোনালী স্মৃতি। স্মৃতিগুলো গেথে থাকে সাদা-কালো ফ্রেমে। আর এভাবে, সময়ের স্রোতে ভেঁসে ভেঁসে আমরা হারিয়ে যাই, অচেনা দূর কোন দেশে।

যেনো আমিই শেষ মানব

আমি নি:সঙ্গ পৃথিবীর বুকে হাটি যেনো আমিই শেষ মানব ধ্বংসের চিহ্ন গুনে গুনে আমি চলি বিশাল সমুদ্র যেখানে মরুভূমি হয়ে যায় আমি সেখানে এসে দাঁড়াই দৃষ্টি সীমা জুড়ে কেবল রোদের হাহাকার, আর তার বুকে আমার পদচিহ্ন। সামনে যেখানে সূর্য নেমে যায় বালির সাগরে, আমি সেই গন্তব্যেই যেতে থাকি। আমি ভীষণ তৃষিত মেঘহীন নীল আকাশ কিংবা শুকিয়ে যাওয়া নদী তীব্র করে পানির পিপাসা আমি এগুতে থাকি নগ্ন পায়ে, যেনো আমিই পৃথিবীর শেষ মানব। এই পথ কি ফুরোবে? অশ্ব খুরের শব্দ শুনি যেনো যেনো আরেকটি একাকী প্রাণী আমি অন্ধ মানুষের কথা ভাবি কি করে সে অন্যকে পথ দেখাবে? আমি পা হারা মানুষের কথা ভাবি, কি করে সে অন্যের বোঝা বইবে? আমি বিবেকহীন মানুষের কথা ভাবি, বিবেকহারা মানব আর দানবে পার্থক্য কোথায়? আমি নিজের কথা ভাবি, আমার পরিচয় কি? আকাশে জেগে থাকা লাখো কোটি তারা, আর এই ছোট্ট পৃথিবীর বুকে যেনো আমিই একমাত্র মানব। এখানে আমার পরিচয় কি? ঘোড়া ছুটছে, যেনো কাপছে জমিন অশ্ব খুরের ধূলোয় ঢেকে যায় আকাশ একি মরিচীকা? কিংবা শব্দের ভ্রম? একি আরেকটি একাকী প্রাণী? নতুবা আমার ভেতর ছুটে...

একা মেয়েটি

বিকেল শেষ হয়ে আসছে। একটু পরেই সন্ধ্যা হবে। মেয়েটি মন খারাপ করে বারান্দায় একা বসে আছে। অনেক সময় ধরে ফেইসবুক, ইনস্ট্রাগ্রাম, ভাইবারে বন্ধুদের ধরতে চেষ্টা করেছে। সবাই অফ লাইনে। প্রচন্ড বিরক্তি নিয়ে মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকে ও। বেশ কিছু সময় ধরে সবগুলো নোটিফিকেশন চেক করে। কিছু পেইজে লাইক করে, শেয়ার করে। এরপর ফোনটা বিছানার ওপর ছুড়ে ফেলে দেয়। ও বসে বসে বোর হচ্ছে কিন্তু ওর সাথে গল্প করার কেউ নেই। টিভি দেখতেও ভালো লাগছে না। আম্মু রান্নাঘরে রান্না করছে। শংকরের এই ছোট্ট, সুন্দর বাসাটায় ও এবং ওর আম্মু থাকে। বাসায় একটি মাত্র বারান্দা। বারান্দায় দাঁড়ালে নিচের রাস্তা দেখা যায়। রাস্তায় পাশে একটা মন্দির ছিলো। এখন ভেঙ্গে ফেলেছে। ওটা দেখা যায়। ওই মন্দিরের পাশে একজন মানুষ জুতো বিক্রি করে। মনে হয় ওপর থেকে হাত বাড়ালেই পছন্দ করে একজোড়া জুতো নিয়ে যাওয়া যায়। অথবা চিৎকার করে লোকটাকে বলা যায়, ‘ভাই, আমার ঐ জুতোটা পছন্দ হয়েছে। উপরে দিয়ে যান’। বারান্দা দিয়ে সামনের বিল্ডিংটাও দেখা যায়। কিন্তু আজ মেয়েটার মন অনেক খারাপ। আশে পাশে এতো কিছু! কিছুই দেখতে ইচ্ছে করছে না। মনে হচ্ছে, সব কিছু বিরাট একটা হাতুড়ি দিয়ে ...

একদিন ঠিক পাহাড় হবো

একদিন ঠিক পাহাড় হবো। এখনতো শিলা খন্ডের মতো সময়। পাথরের টুকরো হবার জন্য কি আপ্রান্ত ছুটে চলছি। ছোট একটি টিলা, অথবা তার চেয়ে একটু বড় কোন পর্বত হবার ব্যকুল ইচ্ছায়, শ্বাস নিয়েছি কি নেইনি ভুলে যাই। কি পেলাম, অথবা কি ফেলে এলাম, কে করে ছুটন্ত সময়ে পেছনের হিসাব? ছোট একটি টিলাই হতে চেয়েছিলাম। অথবা তার চেয়ে বড় একটি পর্বত। শিখা খন্ড হয়ে, এরপর আরো আরো পাথর জুড়ে নিয়ে, হতে চেয়েছিলাম টিলা। অথবা তার চেয়ে বড় একটি পর্বতের স্বপ্নে বিভোর ছিলাম। সময়ের স্রোতে প্রতিনিয়ত ক্ষয়েছি। বাতাসের ঘাতে, ঝড়-বৃষ্টি, তুফানে একটু একটু করে ক্ষয়েছি। তবুও শিখা খন্ড হবার নেশায় সময়-বাতাস-ঝড়-বৃষ্টি-তুফানে চমকে চমকে থেমেছি। শুধু একটি টিলা, অথবা পর্বত হতে চেয়েছি। এখন, ছেড়ে যাওয়া মাংস, অস্থি-মজ্জার পর আমার কঙ্কালটাই কেবল দাঁড়িয়ে। এখন, আমি সব কিছুকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাই আমি সূর্যরশ্মিকে গিলে খাই। কঙ্কাল ভেদ করে যাওয়া আলোর দল, পেছনের বালুর সাথে খেলা করে। আর আমি ফাঁকা চক্ষুকোটরে স্বপ্ন বুনি, একদিন ঠিক পাহাড় হবো। অযুত-নিযুত বালু কণা মিলে মিলে যতটা উঁচু হলে মেঘেদ...

ভাঙ্গা আর সূর্য

আমরা প্রতিনিয়ত ভাঙ্গতে থাকি, আবার সূর্য দেখার লোভে উঠে দাঁড়াই। এরপর আবারো ভেঙ্গে যাই, আবার সূর্য ধরার নেশায় ঘুরে দাঁড়াই। আবারো আমরা ভাঙ্গি। এরপর, আমাদের সূর্যটা হারিয়ে যায়। আর কিছু মানুষতো প্রতিনিয়ত ভাঙ্গছে, নিজেই নিজেকে অথবা অন্য কারো দ্বারা। কিছু মানুষতো অনন্ত হাটবে বলে বের হয়েছে, তারা ভাঙ্গা আর গড়ার মধ্যে হাটে। তারা সূর্যকে দেখে না কিন্তু সূর্য ধরবে বলে ছুটতে থাকে। আর কিছু মানুষতো উন্মাদ। তারা ভাঙ্গতেই থাকে, ভাঙ্গতেই থাকে। তারা নিজেকে গড়ার কথা ভুলে যায়। সবাই তাদের ভাঙ্গতেই থাকে, ভাঙ্গতেই থাকে। তবু তারা নিজেকে গড়ার কথা ভুলে যায়। অথচ, তাদের চোখের দিকে তাকাও। অবিচল, অচপল, দৃঢ়, প্রতিজ্ঞ। তারা তাকিয়ে আছে সূর্যের দিকে।

আমি কে?

“আকাশের উপর হতে যে আলো নেমে আসে, তাতে সিক্ত হও। অন্তরের যে নয়ন, তা উন্মুক্ত কর। প্রজ্ঞাবাণ হও, জ্ঞানী হও। এরপর পৃথিবীর পথে হাটো। সামনে তাকাও, অসীম সাহসে জাহাজ ভাসাও সাগরে। মরীচিকা মাড়িয়ে মরু পাড়ি দাও। তুষার ভেঙ্গে এগিয়ে যাও পর্বত শৃঙ্গে। সবশেষে ফিরে এসো নিজের ঘরে। সবশেষে নিজেকে প্রশ্ন করো, আমি কে? “আমার” সংজ্ঞা কি? ‘আমিত্ব’ ছুড়ে ফেলে প্রশ্ন করতে শেখো, আমি কে? এবং আমি কে?”