Posts

Showing posts from August, 2013

বন্ধুত্ব তোমার আমার

গুণে গুণে পার করেছি বছর দুই কুড়ি তাই বিজয়ের এই দিবসে মনটা খুশি ভারি। খুঁশি মনে খুঁজছি আমি বন্ধু আমার কই? তারে বিনে একা একা ক্যামনে আমি রই? সাত সকালে ঘুমটা ভেঙ্গে  একি শুনিলাম আমার-তাহার বন্ধুত্বে একটু ফাটল পেলাম। বলি শোন বন্ধু আমার নিকট প্রতিবেশি সদাই ব্যস্ত থাকি আমি  রাখতে তারে খুশি। তার অবদান ছাড়া বিজয় পেতাম নাতো ভুলে, এর বিনিময় আমার সবই  দিলাম তারে তুলে। এমন তরো খুশির দিনে বন্ধু আমার তরে। ফেলানিকে ঝুলিয়ে দিলো কাটাতারের পরে। হতচ্ছাড়া এটা মেয়েটা করলো এটা কি? ভালোবাসার সম্পর্কে ঢেলে দিলো ঘি। বুঝলো নাতো ঐ অভাগী বন্ধুত্বের দাম, মরে গিয়ে করলো আমার বন্ধুর অপমান। এই ব্যটারা বেকুব বড়ো কিছুই জানেনা, কোথায় কখন মরতে হবে তাও বোঝেনা। বন্ধু তুমি মাইন্ড করোনা এরা বড়ো পাঁজি, তোমার-আমার সম্পর্কে গলদ খোঁজে রোজই। একটা কেনো, দশ ফেলানী' নিত্য তুমি মারো, আমার গাছের আপেল-বরই যত খুঁশি পাড়ো। শুধু দোহাই তোমার পায়ে আমায় ভুলোনা, তোমার-আমার বন্ধুত্বে  হয়না তুলনা।...

আজ আবার দ্রোহ

মাগো, এখনো শিরায় বইছে তোমার রক্ত। অথচ শত্রু চিঁরে দিয়ে তোমার বুক যেতে চায় এপাড় হতে ওপাড়। তোমার প্রবাহিত দুধে  দিয়ে বাঁধ, শেখাচ্ছে লক্ষ টাকার হিসাব।  তার লাভের লরির চাপে চিড়ে যাচ্ছে তোমার চামড়া। তোমার নি:শ্বাসে ছেড়ে দিচ্ছে গলিত সংস্কৃতির ধুয়া। কিন্তু  আমার ঘুমে যে  এখনো স্টেনগান বেজে ওঠে। পাক নিধনের গানে মত্ত সে অস্ত্র আজ গাইবে অন্য সুরে। আহ্..... রক্তে আজ আবার জেগে  উঠুক দ্রোহ। অস্থির হয়ে খুঁজুক নতুন লক্ষ্য, সম্ভাব্য নব্য হানাদারকে।  December 30, 2011

বর্ণগুলো কাঁদছে

সালাম, বরকত, রফিকের রক্ত কি মুছে গেছে কালো রাজপথ হতে?  মিছিল কি এখন আর প্রকম্পিত করে না ঢাকার বাতাস?  নাকি ম্রিয়মান শহীদ মিনারের  উচ্চকিত স্তম্ভগুলো? . এখনোতো প্রভাতফেরি যায়, রাঙ্গা সূর্যের সাথে মিলিয়ে দিতে শিমুল পলাশের রঙ্গ।  এখনোতো 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো' গান বেঁজে ওঠে পাড়ায় পাড়ায়। এখনোতো বক্তব্যের মঞ্চ কাঁপে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদার দাবিতে।. অথচ, অথচ তবুও,  আমার কেবলি মনে হয় বর্ণগুলো কাঁদছে। ভাষা প্রলাপ করছে তার রুগ্ন স্বরে। শুনছো তোমরা শুনছো? বেয়নেটের মুখ থেকে নিজের মর্যাদা ছিনিয়ে এনেছিলো যে, সে আজ আগ্রাসনের ভয়ে কাঁপছে। নিজের অস্তিত্বের ভয়ে কাঁদছে। গুমরে কাঁদছে, বিলাপ করছে,  চিৎকার করছে,  আত্ম-চিৎকার। March 11, 2012

বাশার তোমাকে অভিশাপ

তেলআবীবের যুদ্ধ জাহাজগুলো যখন হরমুজ প্রণালির মুখে অপেক্ষমান, তাদের আণবিক চুল্লিগুলো যখন তারা নতুন সেন্ট্রিফিউজে সজ্জিত করছে বাশার, তখনি তুমি লাতাকিয়ার সবুজ ভূমিকে করেছ রঞ্জিত, মানুষের টকটকে লাল রক্তে। তোমার সৈন্যদের বন্দুক থেকে ছুটে যাওয়া বুলেট কলুষিত করেছে বুর্জ ইসলামের শান্ত নিরব বালুতট। দামেস্কের মিনারগুলোকে ভেঙ্গেছ তোমার অহংকারের আঘাতে। তারতুস আর আলেপ্পোর শিশুদের করেছ পিতৃহারা। পবিত্র জমিনের উপর এখনো দাগ ছেড়ে যায় তোমার ট্যাংকের বেল্ট, বাতাসে ধোয়াঁর গন্ধে, বাশার তুমি কি শুনছো সেই শিশুর চিৎকার? অস্থির চোখে কেবল অশ্রু, মায়ের লাশের পাশে বসে থেকে অবাক হয়ে দেখছে, কেন এতো লাশ, কেন? কেন এতো কান্না, কেন? কেন এতো চিৎকার, কেন? বাশার, এই অশ্রুগুলো চিনে রাখো, এই কলঙ্কিত দিনের এক একটি অভিশাপ, আল্লাহর কসম, এক একটি অভিশাপ তোমাকে বিদ্ধ করবে যেমনি তোমার স্প্রিণ্টার বিদ্ধ করেছে মানুষের দেয়াল। কালাশনিকভের একটানা শব্দ যেমনি মানুষকে তাড়িয়েছে কুকুরের পালের মত, ঠিক তেমনি দাবড়ে বেড়াবে তোমায় যেমনি তোমার কপ্টার আর মিসাইল খুঁজেছ...