Posts

Showing posts from May, 2017

দুইজন দয়ালু সেলসম্যান এবং একটি খারাপ মানুষ

রাস্তার মোড় ঘুরে আসার সময়ই ছেলেটি বৃদ্ধ লোকটিকে দেখতে পায়। আলো ঝলমলে মিষ্টির দোকানের ভেতর পরিপাটি করে সাজানো খাবারের দিকে তাকিয়ে আছেন বৃদ্ধ। গায়ের মলিন পোষাক দেখে বেশ বোঝাই যাচ্ছে তিনি এই দোকানের কাস্টমার নন। বৃদ্ধকে অতিক্রম করে আরো কিছুদূর এগিয়ে যাবার পরে ছেলেটি ভাবলো, আহারে বেচারা! মিষ্টির দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে অথচ ভেতরে ঢুকে কিনে খাবার সাধ্য নেই। খারাপ লাগারই কথা। ছেলেটি কি যেন চিন্তা করে ঘুরে দাঁড়াল। লোকটাকে একটা মিষ্টি কিনে দিলে কেমন হয়? বৃদ্ধ মানুষটি খুশিই হবে। ছেলেটি দোকানের সামনে ফিরে এসেছে। ততক্ষণে দোকানের ভেতর থেকে বেরিয়ে এসেছেন একজন সেলসম্যান। হাতের মোড়কে সাজানো দুটি মিষ্টি তুলে দিয়েছেন বৃদ্ধের হাতে। বৃদ্ধ এবং সেলসম্যান, দু’জনের মুখেই তখন পরম আনন্দের হাসি। এই মানুষটা চা বিক্রি করেন। মতিঝিলের এই এলাকায় তিনি ছোট একটা চায়ের দোকান চালান দীর্ঘ দিন ধরে। কাজের ফাঁকে দুপুরে দোকানের ভেতরই খেয়ে নেন। খাবার সময় একটা ব্যাপার তিনি অনেক দিন ধরেই লক্ষ্য করছেন। তার আশে-পাশে বেশ কিছু বসার বেঞ্চ আছে। দুপুরে খাবার সময়টায় সেখানে কিছু রিক্সাওয়ালা এবং ভিক্ষুক বসে থাকে। বসে বসে যে কাঠ ফাটা দুপুরের

কাজের বুয়া, সদ্য পাশ করা পোস্ট গ্রাজুয়েট এবং বিদেশি ডিগ্রিধারী ভাই

হিসেব করে দেখলাম, আমাদের বাসায় যে মহিলা কাজ করেন তার প্রতি মাসে আয় কমপক্ষে ১২-১৩ হাজার টাকা। আমাদের বাসাসহ আরো তিন বাসায় কাজ করে তিনি এই টাকা পান। কাজের ক্ষেত্রে তিনি আবার যথেষ্ট প্রফেশনাল। নিদির্ষ্ট তিন কাজের বেশি চার কাজ করবেন না। আবার সেই তিন কাজের কোনটা পরিমানে বেশি হলেও তিনি অসন্তুষ্ট হন। মোদ্দা কথা, এক ঘন্টার মধ্যে কোন রকমে তিনি তার যাবতীয় কাজ শেষ করে নেক্সট অফিসে, সরি নেক্সট বাসায় চলে যান। ওহ, কর্মক্ষেত্র থেকেই তিনি সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, রাতের খাবার যোগার করে নেন। সুতরাং, খাবারের পেছনে আর বাড়তি কোন খরচা করতে হয় না। এবার আমাদের অফিসে সদ্য মাস্টার্স পাশ করে জয়েন করা এক্সিকিউটিভের হিসেব করলাম। তার মাসিক বেতন ১২ হাজার টাকা। এই টাকায় তিনি ঢাকায় মেসে থাকেন, খাওয়া দাওয়া করেন, অফিসে যাতায়াত করেন, বাড়িতে টাকা পাঠান। মাস শেষে হাতে আদৌ কিছু থাকে কিনা সেই জানে। বিদেশ থেকে ডিগ্রি নিয়ে দেশে আসা পরিচিত আরেক ভাইয়ের কথা জানি। দেশে এসে তিনি এক এক প্রাইভেট ভার্সিটিতে লেকচারার হিসেবে জয়েন করেছেন ১৫ হাজার টাকায়। এই টাকায় তিনি কিভাবে চলেন সেই হিসেবটা বরং থাক। বাসায় কাজের মহিলা, সদ্য মাস