Posts

Showing posts from October, 2013

নম্বর মেধা যাচাইয়ের মাধ্যম হতে পারে না : আমীর খান

Image
[প্রথম আলো তার 'স্বপ্ন নিয়ে' পাতায় ২৭ অক্টোবর, ২০১৩ আমীর খানের এই লেখাটি প্রকাশ করে। অসাধারণ কিছু কথা বলেছেন তিনি । পুরো প্রবন্ধটি এখানে রেখে দিলাম। এটি শিক্ষা ব্যবস্থার সংক্ষিপ্ত কিন্তু সামগ্রিক এক ছবি।]   প্রথমেই বলতে চাই, আমি কোনো শিক্ষাবিদ নই; আমি একজন সাধারণ অভিনয়শিল্পী— সৃজনশীলতার নগণ্য ছাত্র মাত্র। শিক্ষা নিয়ে আপনারা আমার চেয়ে অনেক বেশি জানেন; দীর্ঘদিন ধরে আপনারা এর সঙ্গে যুক্ত আছেন। কিন্তু কিছুদিন ধরে আমি শিক্ষা নিয়ে ভাবছি। আমার দুটি সিনেমাতারে জামিন পার ও থ্রি ইডিয়টস শিক্ষাব্যবস্থার সমস্যা নিয়ে নির্মিত। এই সিনেমা দুটি করতে গিয়ে আমাকে অনেক গবেষণা করতে হয়েছে। এতে আমি কিছু জিনিস উপলব্ধি করেছি, যা আজকে আপনাদের বলতে চাই। আজ এখানে শিক্ষাবিদেরা আছেন, অভিভাবকেরা আছেন, অনেক শিক্ষার্থীও আছে। জানি না আমি কতটুকু ভুল কিংবা সঠিক, কিন্তু আপনারা যাঁরা শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত আছেন, তাঁদের কাছে আমার চিন্তাগুলো তুলে ধরাই আমার উদ্দেশ্য। প্রতিটি শিশুই স্বতন্ত্র, এটা আমি বুঝতে পেরেছি। আপনার, আমার ও আমাদের সবার মতোই প্রতিটি শিশুরও কিছু ভালো দিক, কিছু খারাপ দিক আছে। বড় হ

‌একুশে অক্টোবর, দুপুর

বৃষ্টির মূহুর্ত্বগুলো খুব সুন্দর। অবসরে সময়ে গাছের পাতায় পড়ে টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়া বৃষ্টির ফোটাগুলোকে অনুভব করি। সব ব্যবস্তাকে ছুটি দিয়ে আয়েশি হয়ে শব্দের ছন্দপতন শুনতে থাকি। ঝুম বৃষ্টিতে মনে হয় পৃথিবীটা জুড়ে যদি কেবল সবুজ সব গাছ আর তার পাতায় ছন্দের মতন নেমে আসে ফোঁটা ফোঁটা পানির কণা থাকতো! অঝরে বৃষ্টি পড়ছে বুঝতে পারিনি। অফিসের দরজা খুলতেই অবাক হলাম। কিছুক্ষণ পূর্বেও রোদ ছিলো। অপেক্ষ করবো কি করবো না ভাবতে ভাবতেই নিচে নেমে এলাম। ব্যাগ থেকে ছাতাটা খুলে নেমে গেলাম মোজাইক বাঁধানো ফুটপাতে। শো'রুম গুলোর সামনের অংশ কাঁদা আর পিচ্ছিল পাথরে একাকার । তার উপর দিয়ে হাটতে হবে, খুব সাবধানে। অপেক্ষা করলেই পারতাম। অথবা ছাতাটা বন্ধ করে বৃষ্টিতে ভেঁজা যেতো। আধো ভেঁজা হয়ে পকেটের সেল ফোন আর ওয়ালেট সামলাতে সামলাতে গিয়ে পড়লাম সতর্কভাবে রাস্তা পাহারা দেয়া পুলিশের সামনে। প্রধানমন্ত্রী যাবেন। রাস্তায় কোন বাস নেই। প্রবল বৃষ্টি আর ফাঁকা রাস্তা। উঁচু দালানগুলোর উপরে সতর্কভাবে পাহারা দিচ্ছে পুলিশ। ঝাপসা হয়ে যাওয়া উইন্ডশীল্ড'র পেছন থেকে র‍্যাবের অফিসার তাকিয়ে আছেন। একজন মুরুব্বিমত অফিসার এগিয়ে

পোষাক শিল্পে গন্ডগোল, আমি কি ভাবছি?

খুব সকালে যখন আমরা হয়তো সবে ঘুম থেকে উঠবো উঠবো করছি ততক্ষণে শত শত পোষাক শ্রমিকের ব্যস্ত যাত্রা শুরু হয়েছে নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে পৌছানোর জন্য। তারা যাচ্ছে রাস্তা বাম দিয়ে, ডান দিয়ে, মধ্য দিয়ে। দৃশ্যটা একেবারে সাধারণ । জেমসের ভাষায় এই পোষাক শ্রমিকেরা সেলাই দিদিমণি। যদিও দাদাভাইও আছে বেশ কিছু। সকালে সূর্য উঠবে, এটা যেমন আবহাওয়া পূর্বাভাস না শুনেই বলা যায়, তেমনি সাত-সকালে এই সেলাই দিদিমণিরা হাতে একটা টিফিন ক্যারিয়ার ধরে ছুটতে ছুটতে কাজে যাবে, এটাও তাদের জীবনের প্রাত্যহিক ঘটনা । এই মেয়েগুলো র বেশিরভাগই ছুটে আসে গ্রাম বা মফস্বল থেকে। তুলনামূলক একটু ভালো থাকার জন্য। তারা দিনরাত পরিশ্রম করে দেশের জন্য অত্যন্ত মূল্যবাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। তারা তাদের পরিবারকে তাদের উপার্জন থেকে সহায়তা করে। তারা হেন করে, তারা তেন করে...ইত্যাদি ইত্যাদি। মোটামুটি ছোট বেলায় মুখস্ত করা টোকাই, ফেরিওয়ালা, রিক্সা চালক বা এমন কারও উপরে লিখা নিরেট বইয়ের ভাষার রচনা। সত্যি বলতে পোষাক কারখানা বা তৈরী পোষাক নিয়ে আমার মত সাধারণ মানুষের কোন কালেই খুব বেশি আগ্রহ ছিলো না। কিন্তু ইদানিং, আরেকটু সহজ করে বললে