Posts

Showing posts from 2013

আলো আধাঁরের ক্ষণে

আধাঁর কেটে গেলো বুঝি , চমকে উঠি থমকে দাড়াই বাইরে ছুটে যাই। কই ? কোথায় আলো ? কি অদ্ভুত এ আধাঁর! মানুষগুলো দিব্যি হাটছে , বসছে কথা বলছে , আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উঠছে। তাদের কাছে কি তবে আধাঁর আলোর সম ? নাকি তারা আধাঁরে অভিযোজিত। নাকি অদ্ভত আমি নিজেই! আধাঁর বলে আমি হাটছিনা , বসছিনা কথা বলছিনা। অনন্ত অপেক্ষায় অস্থির হয়ে উঠছি। আমার কাছে কি তবে আলোই অতি প্রত্যাশিত ? নাকি আমিই আধাঁরে অভ্যস্থ নই।

জীবনে থামতে জানতে হবে : মারিয়া শ্রিভার

Image
এই প্রবন্ধটি প্রথম আলো'তে ০৩ নভেম্বর, ২০১৩ প্রকাশিত হয়। সংগ্রহে রেখে দিলাম। [মার্কিন সাংবাদিক ও লেখক মারিয়া শ্রিভারের জন্ম ১৯৫৫ সালের ৬ নভেম্বর। মারিয়া ছয়টি বেস্ট সেলিং বইয়ের লেখক। দ্য আলজেইমার প্রোজেক্ট টিভি শোর জন্য তিনি দুটি এমি এবং অ্যাকাডেমি অব টেলিভিশন আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স পুরস্কার লাভ করেন।] সূত্র: ২০১২ সালের ১১ মে এনেনবার্গ স্কুল ফর কমিউনিকেশন, পেনসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটিতে দেওয়া বক্তৃতা। ইংরেজি থেকে সংক্ষেপিত অনুবাদ: মনীষ দাশ] শুভ সকাল। সমাবর্তনে অংশ নেওয়া সব শিক্ষার্থীকে শুভেচ্ছা। শিক্ষার্থীরা, তোমরা এই মুহূর্তে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে ডিগ্রি নিয়ে এমন এক পৃথিবীতে পা দিতে যাচ্ছ, যেখানে যোগাযোগই আসলে সবকিছু। দেশীয় সীমানা, সময়ের পার্থক্য, অর্থনৈতিক অবস্থান—সবকিছুকে উপেক্ষা করে সারা পৃথিবীর মানুষ এখন প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করে যাচ্ছে একে অন্যের সঙ্গে। যোগাযোগের ধারণাকেই আমূল পাল্টে দিয়েছে কম্পিউটার, খুদেবার্তা, বিভিন্ন অ্যাপস, গেমস ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। তার ও বেতার, যেকোনো মাধ্যমেই আমাদের পাশের রুম থেকে পৃথিবীর অন্যপ্রান্ত পর্যন্ত আমরা এখন দিন-রাত

এইডস’র জন্য দায়ী প্রোটিনের স্বচ্ছ ছবি ধারণ, ভ্যাকসিন আবিস্কারের কাছাকাছি বিজ্ঞানীরা

Image
অবশেষে বিজ্ঞানীদের প্রায় বিশ বছর ধরে চালানো এইডস’র গবেষনা আলোর মুখ দেখেছে। স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং ওয়েইল কর্ণেল মেডিকেল কলেজ এর বিজ্ঞানীগণ যৌথভাবে তিনটি ল্যাবে চালানো গবেষনায় এই প্রথমবারের মত এইডস’র ট্রাইমেরিক এনভেলপ প্রোটিনের আণবিক পর্যায়ের ছবি ধারণ করতে সক্ষম হন। বিজ্ঞানী ক্যারাজহার বলেন, ‘এখন আমরা সহজেই বুঝতে পারবো কিভাবে এই ভাইরাসগুলো কাজ করে, কিভাবে এরা শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে এড়িয়ে টিকে থাকে, কেনো এই ভাইরাসগুলো অন্য ভাইরাসের মত নয়, ভবিষ্যতে কিভাবে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে এটিকে প্রতিরোধ করা যাবে এবং সর্বোপরি এইডস’র একটি কার্যকরী প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন আবিস্কার করা সম্ভব হবে। এইডস’র জন্য দায়ী অত্যান্ত জটিল এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল এইচআইভি’র এনভেলপ প্রোটিন আবিস্কার রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং ছিলো গবেষকদের জন্য। মূলত এর প্রোটিনগুলো দ্রুত পরিবর্তনশীল রুপই প্রধান অন্তরায় ছিলো । তাই গবেষকগণ প্রথমে অত্যন্ত পরিবর্তনশীল প্রোটিনগুলোর BG505 SOSIP.664 gp140 নামে একটি সুস্থিত রুপ তৈরী করেন। এরপর তারা এক্সরে ক্রিস্টালোগ্রাফি এবং ইলেকট্রন মাইস্ক্রোস্কপি প্রযুক্তি ব্যবহা

নম্বর মেধা যাচাইয়ের মাধ্যম হতে পারে না : আমীর খান

Image
[প্রথম আলো তার 'স্বপ্ন নিয়ে' পাতায় ২৭ অক্টোবর, ২০১৩ আমীর খানের এই লেখাটি প্রকাশ করে। অসাধারণ কিছু কথা বলেছেন তিনি । পুরো প্রবন্ধটি এখানে রেখে দিলাম। এটি শিক্ষা ব্যবস্থার সংক্ষিপ্ত কিন্তু সামগ্রিক এক ছবি।]   প্রথমেই বলতে চাই, আমি কোনো শিক্ষাবিদ নই; আমি একজন সাধারণ অভিনয়শিল্পী— সৃজনশীলতার নগণ্য ছাত্র মাত্র। শিক্ষা নিয়ে আপনারা আমার চেয়ে অনেক বেশি জানেন; দীর্ঘদিন ধরে আপনারা এর সঙ্গে যুক্ত আছেন। কিন্তু কিছুদিন ধরে আমি শিক্ষা নিয়ে ভাবছি। আমার দুটি সিনেমাতারে জামিন পার ও থ্রি ইডিয়টস শিক্ষাব্যবস্থার সমস্যা নিয়ে নির্মিত। এই সিনেমা দুটি করতে গিয়ে আমাকে অনেক গবেষণা করতে হয়েছে। এতে আমি কিছু জিনিস উপলব্ধি করেছি, যা আজকে আপনাদের বলতে চাই। আজ এখানে শিক্ষাবিদেরা আছেন, অভিভাবকেরা আছেন, অনেক শিক্ষার্থীও আছে। জানি না আমি কতটুকু ভুল কিংবা সঠিক, কিন্তু আপনারা যাঁরা শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত আছেন, তাঁদের কাছে আমার চিন্তাগুলো তুলে ধরাই আমার উদ্দেশ্য। প্রতিটি শিশুই স্বতন্ত্র, এটা আমি বুঝতে পেরেছি। আপনার, আমার ও আমাদের সবার মতোই প্রতিটি শিশুরও কিছু ভালো দিক, কিছু খারাপ দিক আছে। বড় হ

‌একুশে অক্টোবর, দুপুর

বৃষ্টির মূহুর্ত্বগুলো খুব সুন্দর। অবসরে সময়ে গাছের পাতায় পড়ে টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়া বৃষ্টির ফোটাগুলোকে অনুভব করি। সব ব্যবস্তাকে ছুটি দিয়ে আয়েশি হয়ে শব্দের ছন্দপতন শুনতে থাকি। ঝুম বৃষ্টিতে মনে হয় পৃথিবীটা জুড়ে যদি কেবল সবুজ সব গাছ আর তার পাতায় ছন্দের মতন নেমে আসে ফোঁটা ফোঁটা পানির কণা থাকতো! অঝরে বৃষ্টি পড়ছে বুঝতে পারিনি। অফিসের দরজা খুলতেই অবাক হলাম। কিছুক্ষণ পূর্বেও রোদ ছিলো। অপেক্ষ করবো কি করবো না ভাবতে ভাবতেই নিচে নেমে এলাম। ব্যাগ থেকে ছাতাটা খুলে নেমে গেলাম মোজাইক বাঁধানো ফুটপাতে। শো'রুম গুলোর সামনের অংশ কাঁদা আর পিচ্ছিল পাথরে একাকার । তার উপর দিয়ে হাটতে হবে, খুব সাবধানে। অপেক্ষা করলেই পারতাম। অথবা ছাতাটা বন্ধ করে বৃষ্টিতে ভেঁজা যেতো। আধো ভেঁজা হয়ে পকেটের সেল ফোন আর ওয়ালেট সামলাতে সামলাতে গিয়ে পড়লাম সতর্কভাবে রাস্তা পাহারা দেয়া পুলিশের সামনে। প্রধানমন্ত্রী যাবেন। রাস্তায় কোন বাস নেই। প্রবল বৃষ্টি আর ফাঁকা রাস্তা। উঁচু দালানগুলোর উপরে সতর্কভাবে পাহারা দিচ্ছে পুলিশ। ঝাপসা হয়ে যাওয়া উইন্ডশীল্ড'র পেছন থেকে র‍্যাবের অফিসার তাকিয়ে আছেন। একজন মুরুব্বিমত অফিসার এগিয়ে

পোষাক শিল্পে গন্ডগোল, আমি কি ভাবছি?

খুব সকালে যখন আমরা হয়তো সবে ঘুম থেকে উঠবো উঠবো করছি ততক্ষণে শত শত পোষাক শ্রমিকের ব্যস্ত যাত্রা শুরু হয়েছে নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে পৌছানোর জন্য। তারা যাচ্ছে রাস্তা বাম দিয়ে, ডান দিয়ে, মধ্য দিয়ে। দৃশ্যটা একেবারে সাধারণ । জেমসের ভাষায় এই পোষাক শ্রমিকেরা সেলাই দিদিমণি। যদিও দাদাভাইও আছে বেশ কিছু। সকালে সূর্য উঠবে, এটা যেমন আবহাওয়া পূর্বাভাস না শুনেই বলা যায়, তেমনি সাত-সকালে এই সেলাই দিদিমণিরা হাতে একটা টিফিন ক্যারিয়ার ধরে ছুটতে ছুটতে কাজে যাবে, এটাও তাদের জীবনের প্রাত্যহিক ঘটনা । এই মেয়েগুলো র বেশিরভাগই ছুটে আসে গ্রাম বা মফস্বল থেকে। তুলনামূলক একটু ভালো থাকার জন্য। তারা দিনরাত পরিশ্রম করে দেশের জন্য অত্যন্ত মূল্যবাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। তারা তাদের পরিবারকে তাদের উপার্জন থেকে সহায়তা করে। তারা হেন করে, তারা তেন করে...ইত্যাদি ইত্যাদি। মোটামুটি ছোট বেলায় মুখস্ত করা টোকাই, ফেরিওয়ালা, রিক্সা চালক বা এমন কারও উপরে লিখা নিরেট বইয়ের ভাষার রচনা। সত্যি বলতে পোষাক কারখানা বা তৈরী পোষাক নিয়ে আমার মত সাধারণ মানুষের কোন কালেই খুব বেশি আগ্রহ ছিলো না। কিন্তু ইদানিং, আরেকটু সহজ করে বললে

বন্ধুত্ব তোমার আমার

গুণে গুণে পার করেছি বছর দুই কুড়ি তাই বিজয়ের এই দিবসে মনটা খুশি ভারি। খুঁশি মনে খুঁজছি আমি বন্ধু আমার কই? তারে বিনে একা একা ক্যামনে আমি রই? সাত সকালে ঘুমটা ভেঙ্গে  একি শুনিলাম আমার-তাহার বন্ধুত্বে একটু ফাটল পেলাম। বলি শোন বন্ধু আমার নিকট প্রতিবেশি সদাই ব্যস্ত থাকি আমি  রাখতে তারে খুশি। তার অবদান ছাড়া বিজয় পেতাম নাতো ভুলে, এর বিনিময় আমার সবই  দিলাম তারে তুলে। এমন তরো খুশির দিনে বন্ধু আমার তরে। ফেলানিকে ঝুলিয়ে দিলো কাটাতারের পরে। হতচ্ছাড়া এটা মেয়েটা করলো এটা কি? ভালোবাসার সম্পর্কে ঢেলে দিলো ঘি। বুঝলো নাতো ঐ অভাগী বন্ধুত্বের দাম, মরে গিয়ে করলো আমার বন্ধুর অপমান। এই ব্যটারা বেকুব বড়ো কিছুই জানেনা, কোথায় কখন মরতে হবে তাও বোঝেনা। বন্ধু তুমি মাইন্ড করোনা এরা বড়ো পাঁজি, তোমার-আমার সম্পর্কে গলদ খোঁজে রোজই। একটা কেনো, দশ ফেলানী' নিত্য তুমি মারো, আমার গাছের আপেল-বরই যত খুঁশি পাড়ো। শুধু দোহাই তোমার পায়ে আমায় ভুলোনা, তোমার-আমার বন্ধুত্বে  হয়না তুলনা।  December 16,

আজ আবার দ্রোহ

মাগো, এখনো শিরায় বইছে তোমার রক্ত। অথচ শত্রু চিঁরে দিয়ে তোমার বুক যেতে চায় এপাড় হতে ওপাড়। তোমার প্রবাহিত দুধে  দিয়ে বাঁধ, শেখাচ্ছে লক্ষ টাকার হিসাব।  তার লাভের লরির চাপে চিড়ে যাচ্ছে তোমার চামড়া। তোমার নি:শ্বাসে ছেড়ে দিচ্ছে গলিত সংস্কৃতির ধুয়া। কিন্তু  আমার ঘুমে যে  এখনো স্টেনগান বেজে ওঠে। পাক নিধনের গানে মত্ত সে অস্ত্র আজ গাইবে অন্য সুরে। আহ্..... রক্তে আজ আবার জেগে  উঠুক দ্রোহ। অস্থির হয়ে খুঁজুক নতুন লক্ষ্য, সম্ভাব্য নব্য হানাদারকে।  December 30, 2011

বর্ণগুলো কাঁদছে

সালাম, বরকত, রফিকের রক্ত কি মুছে গেছে কালো রাজপথ হতে?  মিছিল কি এখন আর প্রকম্পিত করে না ঢাকার বাতাস?  নাকি ম্রিয়মান শহীদ মিনারের  উচ্চকিত স্তম্ভগুলো? . এখনোতো প্রভাতফেরি যায়, রাঙ্গা সূর্যের সাথে মিলিয়ে দিতে শিমুল পলাশের রঙ্গ।  এখনোতো 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো' গান বেঁজে ওঠে পাড়ায় পাড়ায়। এখনোতো বক্তব্যের মঞ্চ কাঁপে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদার দাবিতে।. অথচ, অথচ তবুও,  আমার কেবলি মনে হয় বর্ণগুলো কাঁদছে। ভাষা প্রলাপ করছে তার রুগ্ন স্বরে। শুনছো তোমরা শুনছো? বেয়নেটের মুখ থেকে নিজের মর্যাদা ছিনিয়ে এনেছিলো যে, সে আজ আগ্রাসনের ভয়ে কাঁপছে। নিজের অস্তিত্বের ভয়ে কাঁদছে। গুমরে কাঁদছে, বিলাপ করছে,  চিৎকার করছে,  আত্ম-চিৎকার। March 11, 2012

বাশার তোমাকে অভিশাপ

তেলআবীবের যুদ্ধ জাহাজগুলো যখন হরমুজ প্রণালির মুখে অপেক্ষমান, তাদের আণবিক চুল্লিগুলো যখন তারা নতুন সেন্ট্রিফিউজে সজ্জিত করছে বাশার, তখনি তুমি লাতাকিয়ার সবুজ ভূমিকে করেছ রঞ্জিত, মানুষের টকটকে লাল রক্তে। তোমার সৈন্যদের বন্দুক থেকে ছুটে যাওয়া বুলেট কলুষিত করেছে বুর্জ ইসলামের শান্ত নিরব বালুতট। দামেস্কের মিনারগুলোকে ভেঙ্গেছ তোমার অহংকারের আঘাতে। তারতুস আর আলেপ্পোর শিশুদের করেছ পিতৃহারা। পবিত্র জমিনের উপর এখনো দাগ ছেড়ে যায় তোমার ট্যাংকের বেল্ট, বাতাসে ধোয়াঁর গন্ধে, বাশার তুমি কি শুনছো সেই শিশুর চিৎকার? অস্থির চোখে কেবল অশ্রু, মায়ের লাশের পাশে বসে থেকে অবাক হয়ে দেখছে, কেন এতো লাশ, কেন? কেন এতো কান্না, কেন? কেন এতো চিৎকার, কেন? বাশার, এই অশ্রুগুলো চিনে রাখো, এই কলঙ্কিত দিনের এক একটি অভিশাপ, আল্লাহর কসম, এক একটি অভিশাপ তোমাকে বিদ্ধ করবে যেমনি তোমার স্প্রিণ্টার বিদ্ধ করেছে মানুষের দেয়াল। কালাশনিকভের একটানা শব্দ যেমনি মানুষকে তাড়িয়েছে কুকুরের পালের মত, ঠিক তেমনি দাবড়ে বেড়াবে তোমায় যেমনি তোমার কপ্টার আর মিসাইল খুঁজেছ

আপনার জিনোম থেকেই ঔষুধ বানিয়ে দেবে (?)

সময়টা বিংশ শতাব্দির কোন এক দিন। পড়ন্ত এক বিকেলে মা তার ছোট্ট সোনামনিকে নিয়ে গেলেন ডাক্তারের কাছে। ডাক্তারকে বললেন তার বাবুটা এই সমস্যা-সেই সমস্যায় ভুগছে। ডাক্তার নিঁখুত হাতে তাকে পরীক্ষা করলেন। মা'কে অভয় দিয়ে বললেন সব ঠিক হয়ে যাবে। এরপর তিনি তার রোগী ছোট্ট বাবুটাকে ল্যাবে নিয়ে তার মুখ থেকে একটুখানি 'লালা' রেখে দিলেন। ফিরে এসে তার মাকে বললেন কয়েকঘন্ট পর নিদির্ষ্ট জায়গা থেকে তার বাবুর ঔষুধ বুঝে নিতে । বাবুটা মায়ের হাত ধরে ফিরে গেলো। ডাক্তার এই সময়টায় কি করলেন? তিনি শিশুটির 'লালা' নিদিষ্টি ল্যাবে পাঠালেন। সেই ল্যাব সেখান থেকে 'ডিএনএ'  আলাদা করলো। সেই ডিএনএ'র সিকোয়েন্স মেইল করে পাঠিয়ে দিলো কোন এক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির প্লান্টে যেখানে তারা 'জিনোম বেইজড' ঔষুধ বানায়। তারা সেই ছোট্ট শিশুর ডিএনএ এ্যানালাইসিস করে সেই অনুযায়ী ঔষুধগুলো বানিয়ে দিলো। কাজগুলো করা হলো আর্টিফিসিয়াল ইনটিলিজেন্স ভিত্তিক রোবট এর মাধ্যমে। শিশুটির জন্য এই তৈরী করা ঔষুধগুলো পুরোপুরি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত, নিরাপদ কারণ এগুলো তৈরী হয়েছে তার নিজের